ধর্ষণের শাস্তি ১০ বেত্রাঘাত

ধর্ষণের সাজা হিসেবে ১০টি বেত্রাঘাত করে ধর্ষককে ছেড়ে দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান। নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউপির চেয়ারম্যান আলী হায়দার বকশি বুধবার সালিশ বৈঠক ডেকে ধর্ষককে এ শাস্তি দেন।

শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে ধর্ষক আনোয়ার হোসেনকে (২২) এ সাজা দেয়া হয়। ধর্ষক আনোয়ার আন্ডারচর গ্রামের গাড়িচালক ইসমাঈলের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, দুই মাস ধরে বাড়িতে এসে আনোয়ার ওই গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। একদিন বাড়িতে কেউ না থাকায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় আনোয়ার। এ নিয়ে মামলা করতে চাইলে আনোয়ার ও ইউপি চেয়ারম্যান সালিশে সমঝোতা করার প্রস্তাব দেয়।

গত ১৮ জুন আনোয়ার সুযোগ বুঝে বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এবারও মামলা করতে বাধা দেয়া হয় গৃহবধূ ও তার স্বামীকে। বুধবার সালিশে বসতে বাধ্য করা হয়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আনোয়ার ও তার বাবার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ২০ হাজার টাকা নিয়ে কাউন্সিলর ওই সালিশ ডাকে।

টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আলী হায়দার বকশি বলেন, সালিশ বৈঠকে অপরাধী প্রমাণিত হওয়ায় আনোয়ার হোসেনকে ১০টি বেত্রাঘাত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ধর্ষণ ও সালিশের বিষয়টি আমার জানা নেই।